15 March 2020
আমাদের দেশ মুসলিম গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতি এমন ছিলনা।১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়কে যুক্ত করেছিলেন। তাঁর সেই ইশতেহার মানুষ কিন্তু গ্রহণ করেছিলো। এর ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হলো। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।যখন বঙ্গবন্ধু দেখলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানিরা এখানে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করছে। তখন তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয় নিয়ে জোরেশোরে মাঠে নামেন। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দ কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবের কারণে বাদ দিতে হয়েছিল।তার মানে এই না আওয়ামী লীগ মুসলিম বা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাধা হয়ে দাড়াবে। আমরা জানি আমাদের দেশ মুসলিম গণতান্ত্রিক দেশ। তখনকার সময়ে পূর্ব বাংলার প্রতি পাকিস্তানের মনোভাব জোরকরে চাপানো শোষণ এবং ভাষা সহ নানাবিদ কার্যকলাপে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর যে আঘাত - এগুলোকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু খুব দ্রুত তার পরিণত বয়সে তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার পথে আকৃষ্ট হচ্ছেন। তিনি বাংলার সমাজের হিন্দু-মুসলমান সকলে অধিকারের কথা ভেবেছেন।
Post a Comment